After a long wait, C. N. Lester’s book Trans Like Me is out — so they take the opportunity to share advice any blogger-who’s-also-an-aspiring-author would find valuable.
via From Blog to Book: Five Things I Learned along the Way — Discover
After a long wait, C. N. Lester’s book Trans Like Me is out — so they take the opportunity to share advice any blogger-who’s-also-an-aspiring-author would find valuable.
via From Blog to Book: Five Things I Learned along the Way — Discover
How does an elephant hug you say? Seems they do it every day. Just look here… it’s plain my dear. As this sweet gentleman, wipes away a tear. Seems we could learn a lesson or two. Simply by embracing an elephant’s point of view. Written by, Michelle Cook Photo credit: pixabay.com
সম্ভবত গতবছর, নভেম্বর এর ঘটনা। কেরালার সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে কিছু মহিলা প্রতিবাদ করেন। একজন অধ্যক্ষ-এর মতামত ছিল যে কিছু মহিলা অনেক সময় ঋতুমতি থাকা অবস্থায় মন্দিরে প্রবেশ করে তাতে অপবিত্র হয় মন্দিরের পূণ্যভুমি। কে ঋতুমতী কে ঋতুমতী নয় , তা বোঝার জন্য এক বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কারের উপায়ও বের করেছিলেন সেই অধ্যক্ষ এবং তারই প্রতিবাদে গোটা দেশের বিভিন্ন স্তরের মহিলারা #Happy to Bleed প্রচার শুরু করলেন। প্রতিক্রিয়া পুরুষদের থেকেও এসেছিল। কিন্ত আজ আমার মনে হচ্ছে এত প্রতিবাদ, এত উদ্যোগ এর পরও সমাজের বহু মানুষের মনে মেয়েদের মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে অন্ধত্ব বিদ্যমান। তাহলে কী স্যানিটারি ন্যাপকিন এর Happy to Bleed প্রতিবাদ, এত মহিলার গর্জে ওঠা ঝঙ্কার সবই কী বৃথা!
শুরুতেই এসব কথা বলছি কারণ আজ আমরা অনেকটাই এগিয়ে।বহু মানুষ, শুধু নারীই নয় পুরুষরাও প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছেন ঋতুচক্রকে ঘিরে থাকা অন্যায় নিয়মের বিরুদ্ধে।কিন্তু কোথায়! সেই প্রতিবাদে কজন জাগছে? যদি জাগতই তাহলে কেন আজ আমার চোখের সামনে একটি অষ্টমশ্রেনির ছাত্রীর সাদা পোষাকে ঋতুচক্রের দাগ লাগায় অপমানিত হতে হল তাকে? কেন অপমানিত হতে হল আমাকেও ‘অসভ্য’ কথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য?
ঋতুচক্র অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়ার মতোই একটি সাধারণ শারীরিক ক্রিয়া। সেই বিষয়কেই যদি সমাজের লোক অপবিত্র বলে গন্য করেন তাহলে কী মানে দাঁড়ালো তিমি পল এর সেই অনন্য সাধারণ ছবি ‘মাই পিরিয়ড বেবি’-র? আর যে মানুষটিকে এই ঋতুচক্রের ফলে জামায় দাগ লাগার জন্য যারা অসভ্য বলে মনে করছেন তারা কী একবারও ভেবে দেখেছেন যে এই সমাজে মেয়েদের এই শারীরিক প্রক্রিয়াটি যদি না থাকত তাহলে আমি আপনি আমরা সবাই কীভাবে এই জায়গায় দাড়িয়ে থাকতাম ? কেন একটি মেয়েকে বাসে ট্রেনে প্রতিমুহূর্তে এই ঋতুচক্রের জন্য অপমানিত হতে হবে? কেন একটি মেয়ে ঋতুচক্রের জন্য মন্দিরে উঠতে পারবে না? আজ যদি জামাতে ঋতুচক্রের দাগ লাগায় শুনতে হয় মেয়েটি অসভ্য তাহলে তাকে যে সর্বসমক্ষে অপমানিত হতে হল সেটা বুঝি খুব সভ্য ব্যাপার!
আজ তেঘরিয়ার, লোকনাথ মন্দিরের মুখে একটি অষটম শ্রেনির ছাত্রীর সাদা স্কার্টে ঋতুচক্রের দাগ চোখে পড়ায় এক মহিলা তাকে ডেকে বলেন তুমি এত অসভ্য কেন! বড় হয়েছো নিজেকে ঢাকতে শেখোনি!ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করি… মেয়েটি এমন অবস্থা বুঝতে না পারায় ফ্যালফ্যাল করে মহিলাটির দিকে তাকিয়েছিল। আমি মহিলাটির প্রায় চিৎকাররত মন্তব্য শুনে এগিয়ে আসি—
“কাকিমা আপনি যে ওকে বলছেন … তাহলে আপনার কী কখনই শাড়ি বা জামাকাপড়ে দাগ লাগেনি! ও না হয় ছোটো তাই বুঝতে পারেনি যে দাগটা লেগেছে কিন্তু আপনি তো শিক্ষিত মহিলা!আপনি কী করে এভাবে চিৎকার করে ওকে অসভ্য বলতে পারলেন ,তাহলে সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে আপনিও তো অসভ্য।”
প্রতিবাদটা দরকার ছিল। কিন্তু জানিনা সে প্রতিবাদ কতটা মূল্য পেল! বলি কাকীমা মাসিমা যেই হন না কেন এভাবে কোন ঋতুমতি মেয়েকে আপনারা যে অসভ্য বলছেন, তাও নিজে একজন মেয়ে হয়ে, তাদের জামায় দাগ লাগলে যে তাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন , তাতে আপনারা কী ভাবছেন! যে একটা মেয়েকে এভাবে অপমান করে কিছু অশিক্ষিতসম জ্ঞান দিয়ে নারী জাতির স্থানটাকে আরো উপরে তুলে দিলেন বুঝি! তাহলে বলব নিজে ওই মেয়েটির জায়গায় এসে দাঁড়ান তবে বুঝবেন কৌতুকযন্ত্রনা সহ্য করার কষ্ট!
এনেক প্রতিবাদ আগেও হয়েছে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে কিন্তু সমাজ কী এগোল? আজ তো ওই অষ্টম শ্রেনির মেয়েরটির পাশে এসে তো কেউ দাড়ালো না! আমি প্রতিবাদ করলাম বলে আমাকে শুনতে হল ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি’। এই তাহলে সমাজ, এই তাহলে একটা নারীর প্রতি একটা নারীর সম্মান! একজন নারী হয়ে বলছি যে সমাজ একজন নারীকে অপমান করে,একজন নারীর পবিত্র শারীরিক প্রক্রিয়াকে অপবিত্র বলে সেই সমাজকে আমি যোগ্য মনে করি না। একজন ‘নারী’ হয়ে আমি গর্বিত, একটি নারী ‘ঋতুচক্র’ প্রক্রিয়ার জন্য আমি গর্বিত, ‘রক্তাক্ত’ হয়ে আমি গর্বিত।
মৌসুমী পাল। (তেঘরিয়া)
#Happy to Bleed…..
(provided into english)
Perhaps last year, the events of November. Some women protest against not allowing women to enter the Sarimala temple in Kerala. The opinion of an overseer was that some women often enter the temple while in the period of menstruation and are unclean in it, the path of the temple. The headmaster who had taken the method of inventing a particular instrument to understand who is not a menstruating period, and in protest, women from all over the country started the #Happy to Bleed campaign.The response came from men too. But today I feel so much protest, even after so many initiatives, many people of the society have blindness about menstrual hygiene. So, what is the sanitary napkin’s Happy to Bleed protest?
In the beginning we are saying these things because today we are very much ahead. Many people, not just women, men have come forward to protest against the wrong rule surrounding the ritual chakra. But where! How many voices in the protest? If the world is so why should I have an upper class student’s face in front of my eyes to be insulted by wearing a veil of the season? Why to humiliate me to protest against the ‘savage’?
Severe menstrual cycle is a common physical activity similar to other physical functions. What does that mean if the people of the society are considered unclean, then what is the unique picture of ‘My Period Baby’ of whale Paul? And the person who seems to be barbaric to get the stain out of this season, did they once think that if the women did not have this physical process in this society then how could I all of us stand in this place? Why should a girl be humiliated for this season on the bus train altogether? Why a girl can not go to the temple for menstruation? If today the woman has heard the stains of the serpent, she is uncivilized, then it is very civilized to realize that she is to be humiliated publicly.
Today, Teghariya, in the front of Loknath temple, an eight-class student of the white skirt in the face of menstruation, a woman called her, why are you so savage? I did not even learn to cover myself! I also noticed that … the girl did not understand the situation and looked at the woman by failing. I came forward to hear the woman’s almost shouting remarks-
“Aunty, why are you saying to her like this … do not you ever wear sari or clothes! she is not too small to understand that she took the stain but you are a educated woman! How did you cry out in such a way that you could call her savage, if you can see it then you are too savage.
The protest was needed. But I do not know how much the protests got! If you say that a woman is not a kind of aunt, why do you think that she is a savvy woman, she is a girl herself, and if she is wearing a scar on her face, what do you think? The woman who insulted a girl like this on the other hand, with some uneducated knowledge, gave up the position of women. Then you will come to the place of the girl, but understand the trouble of trying to cope with the trick!
The protests have already been done with menstrual Hygiene but what is the society? Today, no one stood next to the eighth grade girl! As I protested, I had heard that ‘Auntie is more than mother’.If this is a society, then this is a woman’s respect for a woman! Being a woman, the society that insults a woman, does not think that the society is unclean because of a woman’s sacred physical process. I’m proud of being a ‘woman’, I’m proud of the process of a woman ‘menstrual’, I’m proud of being ‘bloody’.
#Happy to Bleed….. #Happy to Bleed … ..
Mousumi Paul. (Teghoria)
সালটা সম্ভবত ২০১৪, রাতের আঁধারে মেয়েটির সহায়তা করতে সেদিন কেউ এগিয়ে আসেনি। অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েটি সমাজেরই কিছু খারাপ মানুষের লোভ আর লালশার শিকার হতে যাচ্ছিল সেদিন। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলেও সন্মান বাঁচানোর জন্য নিজের হাতে বিষ তুলে নেয় মেয়েটি। সেসময় মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে আসেনি কেউই! সমাজের কিছু নিষ্ঠুর ব্যক্তিরা মেয়েটিকে বাতিলের খাতায় ফেলতে চায় আজও। মেয়েটি বেঁচে আছে আজও সমাজের চোখে ‘অপবিত্র’ হয়ে। শুধু এইঘটনাই নয়, নারীর ‘অধীকার’ আজও পৃথিবীর সর্বত্র স্বীকৃত নয়। আমাদেরই দেশের বিভিন্ন জায়গায়(গুজরাট,তামিলনাড়ু,কর্ণাটক আরো বহু স্থানে) মেয়েদের সুরক্ষা ঐখনও আশঙ্কাজনক সব ঘটনা হয়ত খবরের কাগজের পাতায় ওঠে না! কিছু ঘটনা হয়ত কিছু খারাপ মানুষের কুক্ষিগত হয়ে চাপা পড়ে থাকে অচিরেই,সুবিচারও মেলে না। হ্যাঁ, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘নারী সুরক্ষা’ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন! কিন্তু চাই আরো কাজ; শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, ‘নারী সুরক্ষা’ আর ‘নারী প্রগতি’-কে আরো দৃঢ় দেখতে চাই। নারী আজ স্বাধীন হলেও,তার নিজের যোগ্যতায় উঠে দাঁড়ালেও,তাদের সুরক্ষা আজও যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তাই সকলের কাছে একান্ত কাম্য সকলে এগিয়ে আসুক নারীর পাশে দাঁড়াতে,নারীর পাশে থাকতে। এসমাজে সকল নারীর সন্মান একটা হীরের থেকেও দামী,সুতরাং নারীর মর্যাদাকে সঠিক রূপে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। যদি কিছু মানুষের মনে জেগে ওঠে একটু সারা তাহলে সকল মানুষ এগিয়ে আসবে সমাজের সকল লাঞ্ছিতা নারীর পাশে দাঁড়াতে। ‘নারী সুরক্ষা’ জাগুক, ‘নারী সন্মান’ বাঁচুক, ‘নারী প্রগতি’ এগিয়ে যাক।
মৌসুমী পাল,তেঘরিয়া,উত্তর ২৪ পরগনা
(provided into English)
#দেশলাই বাক্স।(সত্য ঘটনা অবলম্বনে—প্রধান দুই চরিত্রের নাম পরিবর্তন)#।
পর্ব- এক
-এই ঝিলমিল ফোনটা ধরছিলিস না কেন রে?
-আসলে সাইলেন্ট এ ছিল রে বুঝতে পারিনি……
-হ্যাঁ,ওই কর! ফোন সাইলেন্ট এ দিয়ে রাখ সারাক্ষন, আর আমি সারাদিন তোকে ফোন করে যাই…. আর কি !
-ধুর, বল না কী বলবি! কথা বলার থেকে তুই আজকাল একটু বেশিই বক্তৃতা দিচ্ছিস আকাশ !
-সেই আমিই তো দি বক্তৃতা, তুই কম কী দিস শুনি! আচ্ছা শোন কাল একবার আয় না মেট্রোপ্লাজা তে….. কথা আছে তোর সাথে!
-কালই যেতে হবে! কাল আমার গানের ক্লাস আছে কী করে সময় হবে, কথা বলতে বলতেই তো সময় চলে যাবে অনেক,তখন আমার গানের ক্লাসের কী হবে শুনি!
-যা, তোকে বলে লাভ নেই!বললেও আসবি না! ছাড়,বাদ দে।
-আচ্ছা আসব নে! আসব আমি, রেগে যাচ্চিস কেন??????
-কথা দিলি কিন্তু, ভুলে যাস না যেন!
-হ্যাঁ রে আসব রে!
পর্ব- দুই
-মা,আমি বেরোবো, দেরি হয়ে যাচ্ছে। আকাশ তো চলে যাবে এর পর,তোমার হল রান্না!
-হ্যাঁ রে হয়েছে, খেতে বস!
আকাশ আর ঝিলমিল, খুব ভালো বন্ধু। সেই কলেজে ঢোকার পর ওদের বন্ধুত্ত্ব হয়। দুজনের কেউ ই একজন অন্য জনের সাথে দেখা না করে থাকতে পারে না। কেউ যদি একদিন কলেজে না আসে তাহলে অন্য জনও কলেজে আসে না! আর ভুল করে যদি চলেও আসে, তাহলে সে অন্য জনকে দেখতে না পেয়ে ফিরে যায় বাড়ি।
ওদের বন্ধুত্ত্বটা অনেকের কাছেই জ্বলুনির কারণ ছিল!কিন্তু ওরা ওদের বন্ধুত্ত্ব কখনোই নষ্ট হতে দেয়নি। একদিন আকাশ ঝিলমিলকে বলছিল——–
-জানিসইতো আমি তোকে একদিন না দেখে থাকতে পারি না, তাহলে কেন আসিস না বল তো কলেজে…….???
-কী করব! শরীর ভালো না থাকলে কী করে আসব, ভেবে দেখ আমি কত দুর থেকে আসি!
-হ্যাঁ সেটা ঠিক! কিন্তু তুই না থাকলে আমার ভালো লাগে না!
-আরে বাবা আমারও কী ভালো লাগে নাকি!
এভাবে ভালোই কাটছিল সময়। দুজনের বন্ধুত্ত্বও ছিল তালা-চাবির মতো,কিন্তু সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা তালার থেকে চাবিকে আলাদা করে দিল।
পর্ব- তিন
-কিচ্ছু হবে না তোর! আমি তো আছি! কিচ্ছু হবে না—ও দাদা একটু সাহায্য করুন না! এই হ্যালো হ্যালো! ও দাদা একটু দাঁড়ান না প্লিজ! একটু দাঁড়ান! আমার বন্ধু পড়ে আছে ওখানে! একটু হেল্প করুন না দাদা প্লিজ!
বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ঝিলমিল আকাশের হারিয়ে যাওয়া সেই সুন্দর দেশলাই বাক্সটা ব্যাগেতে ঢুকিয়ে রেখেছিল। যদি ভুলে যায়! তাহলে তো আর ওটা আকাশকে ফেরৎ দেওয়া হবে না! রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন ঝিলমিল একটাও ট্যাক্সি পেল না। সামনে একটা অটো ছিল।তাতেই উঠে পড়ল ঝিলমিল।
-জিলিপিবাগান যাবে???
-হ্যাঁ, যাবে উঠে পড়ুন।
ঝিলমিল ভাবতে ভাবতেই যাচ্ছিল আজ যখন আকাশকে ও দেশলাই বাক্সটা ফেরৎ দেবে, আকাশ তখন খুব খুশি হবে! আকাশের হাসি হাসি মুখটার কথা ভেবে ঝিলমিলের ঠোঁটের কোনে একটা সুন্দর হাসি ফুটে উঠছিল।
-একী কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে! হেল্প ……হেল্প….
কে আপনি ! একী কারা আপনারা ……… কী চাই আপনাদের ………ছেড়ে দিন আমাকে………অ্যা…… বাঁচাও …..অ্যা …..অ্যা ……. বাঁচাও বাঁচাও…… ছেড়ে দিন ….ছেড়ে দিন…………………………….
……..বুম………দুম ………দুম……..দুম…..।
লুটিয়ে পড়ল ঝিলমিল মাটিতে……….।
পর্ব- চার
-ডক্টর ডক্টর ! কী হয়েছে ঝিলমিল এর,কী হয়েছে????
-দেখুন ওকে সম্ভবত রেপড করা হয়েছে এবং তার পর গুলি করা হয়েছে। আপনি থানা তে গিয়ে একটা ডায়রি করুন। ব্যাপারটা যথেষ্ট সিরিয়াস। আর আমরা এদিকে চেষ্টা করছি! আপনি থানাতে ডায়রিটা তাড়াতাড়ি করুন………….
আকাশ বসে পড়ল নার্সিংহোম এর ফ্লোর এর উপর। চোখ দিয়ে জল পড়ছে আকাশের! ঝিলমিলকে ছাড়া ও যে থাকতে পারবে না!
অসম্ভব যন্ত্রনা হচ্ছে ওর মধ্যে এখন। হঠাৎ চোখে পড়ল আকাশের; সেই দেশলাই বাক্সটা ! ….. নার্সিংহোম এর ফ্লোর এর উপর পড়ে আছে , তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় দেশলাই বাক্সটা!
-এই যে শুনছেন, আপনাকে ডাকছি!
-হ্যাঁ ডক্টর বলুন বলুন ! হ্যা এই যে বলুন , আমি এখানে !
-আমি পারলাম না! আমায় ক্ষমা করবেন! আমি পারলাম না।
এরপর পাঁচটা বছর কেটে গেছে
আকাশ কাউকে ছেড়ে দেয়নি! সেদিন এর গ্যাঙ্গ রেপড এ সামিল থাকা প্রত্যেক কে ও শাস্তি দিয়েছে। শুধু একজনই ওর থেকে অনেক দুরে চলে গেছে , ঝিলমিল ! সেই দেশলাই বাক্স আজও যত্ন করে রেখে দিয়েছে আকাশ। ওটাই তো দিতে চেয়েছিল ঝিলমিল আকাশকে ——–। ঝিলমিল এর ছবির সামনে আজও আছে সেই দেশলাই এর বাক্স, একটা কাঠিও নষ্ট হয়নি! সব কাঠিগুলো যত্ন করে আকাশ দেশলাই বাক্সে রেখে দিয়েছে; আজও তীরা কাঁদে ঝিলমিল এর ফিরে আসার অপেক্ষায়……… সেদিন ঝিলমিল এর ছোঁয়াতেই যে ওরা প্রাণ পেয়েছিল!
(এটা লেখার উদ্দেশ্য একটাই, এখনও এই সমাজে কোথায় মেয়েদের সুরক্ষা! কোথায় সমাজে নারী সচেতনতা! খবরের কাগজের পাতা খুললেই চোখে পড়ে নানারকম রেপ কেসের ঘটনা…… কোথায় কতদূর এগিয়েছে আজ নারী সুরক্ষা????? সমাজ শিক্ষিত হলেও আজ বহু শিক্ষিত মানুষই এই সব রেপ কেসের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। কোথায় তাদের শাস্তি? সবাই তো পায় না শাস্তি , নিজেদের আখেরটা তারা ঠিক নিজেরা গুছিয়ে নেয় একসময়।
নারী প্রগতি এগোলেও নারী সুরক্ষা এখনও মান্ধাতার আমলের পুরনো প্রতিশ্রুতি। তাই চাই নারী সুরক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলে এগিয়ে আসুক, সকলে মিলে দিক নারীকে যোগ্য সন্মান ।)
——–সমাপ্ত——-
Source: About